শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১
মো.ফয়সাল হাসান।।
মাহে রমজানে পিরোজপুরের ব্যাসকাঠী গ্রামে হাতে ভাজা মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মুড়ি তৈরীর কারিগরা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর চালের দাম বেশি থাকায় মুড়ি বিক্রি করে খুব একটা লাভবান হচ্ছেন না কারিগরা। কোন প্রকার কেমিক্যালের মিশ্রন না থাকায় সুস্বাদু হওয়াতে এ মুড়ির বিপুল চাহিদা থাকলেও চড়া সুদে ঋন নিয়ে এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারছেনা মুড়ি ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা অল্প সময়ে অনেক মুনফা করার জন্য সাধারন ক্রেতাদের মুখে বিষ তুলে দেওয়ার মতো পদার্থ ( হাইড্রোজ ) মিশিয়ে চিকন মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মেশিন মালিকরা।
হাতে ভাজা মুড়ির কারিগর মঞ্জু রানী সুতার, নয়ন সুতার বলেন, আমরা প্রথমে চালে লবন পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে শুকাতে হয়। শুকানোর পর তা চুলার উপর মাটির পাত্রে গরম বালি দিয়ে নাড়তে হয়। এরপর মুড়ি ফুলে লাল হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হয়। হাতে ভাজা মুড়ি উৎপাদনে খরচ একটু বেশি। কিন্ত কারিগরদের দাবি মেশিনে মিশিয়ে মুড়ি উৎপাদন করে তা কম দামে বাজারে বিক্রি করায় হাতে ভাজা মুড়ির সঠিক মূল্য পাচ্ছেনা মালিকরা। রমজান মাসে মুড়ি উৎপাদন করে তা বিক্রি করে পুরো বছর জীবন জীবিকা নিবাহ করেন কারিগরা।
গত বছরের তুলনায় এ বছর মুড়ির দাম বেশি। যে মুড়ি রমজানের আগে বিক্রি হতো ৮০ থেকে ৯০ টাকায় মেশিনে ভাজা মুড়ি অপর দিকে হাতে ভাজা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।
মুড়ি প্রস্ততকারক কালা চাঁদ দাস,অভিনাস সুতার বলেন, মুড়ি তৈরিতে যে পরিমান শ্রম ব্যয় হয় সেই পরিমান আয় হয় না। হাইড্রোজ মেশানো মেশিনে ভাজা মুড়ি খেলে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকি। পুঁজির অভাবে অনেকেই ব্যবসা করতে পারছে না। কারিগর ও মালিকদের সরকারের কাছে আবেদন অল্প সুদে ঋন দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।